-->

নাগ পঞ্চমী ব্রতকথা এবং ব্রতের ফল লাভ । Nag Panchami Brata Katha

নাগ পঞ্চমী (Nag Panchami) হল হিন্দুধর্মের একটি উৎসব যা শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয়। এই উৎসবটি সাপের দেবতাদের পূজা করার জন্য পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন সাপরা শান্ত থাকে এবং তাদের পূজা করলে তারা মানুষের ক্ষতি করে না।

Nag Panchami Brata Katha


নাগ পঞ্চমী উৎসবটি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নভাবে পালিত হয়। কিছু অঞ্চলে এই দিন সাপের ছবি বা মূর্তি পূজা করা হয়। আবার কিছু অঞ্চলে এই দিন সাপের দেবতাদের নামে ব্রত পালন করা হয়। এছাড়াও, এই দিন সাপের খাবার যেমন দুধ, ধান, কলা ইত্যাদি দান করা হয়।

নাগ পঞ্চমী উৎসবটি সাপের দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এবং তাদের আশীর্বাদ লাভের জন্য পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই উৎসবটি পালন করলে সাপের কামড় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সাপের কারণে होने वाली অন্যান্য সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

নাগ পঞ্চমী উৎসবটি একটি সুন্দর এবং ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবটি পালন করে মানুষ সাপের দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং তাদের আশীর্বাদ লাভ করে।

নাগ পঞ্চমী ব্রত

ব্রত পালনের মাস -শ্রাবণ মাস ব্রতের নিয়ম : ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিনকে রীতিমত মনসাপুজা করলে সাপের ভয় দূর হয়ে যায়। দশহরার দিনে বাড়ির উঠোনে মনসা গাছের ডাল পুঁতে দিয়ে তারপর পূজা করতে হয়। পূজার পর মা মনসাকে প্রণাম করে নিজের মনের ইচ্ছা আকাঙ্খা মাকে জানিয়ে বর প্রার্থনা করতে হয়।

প্রণাম মন্ত্রঃ

আস্তিকস্য, মুনির্মাতা ভগিনী বাসুকিস্তথা।।
জরৎকারু মুনিঃ পত্নী মনসাদেবী নমোহস্তুতে।।
উপরের এই মন্ত্রটি বলে মাকে ভক্তি ভরে প্রণাম করতে হয়। ব্রতকথা ঃ দীর্ঘদিন আগে এক বেনে পরিবারে পাঁচ ছেলে, পাঁচ বউ ও তাদের বৃদ্ধ বিধবা মা বসবাস করত। পাঁচ বউ-এর মধ্যে ছোট বউ ছাড়া সকলেরই বাপের বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো। তাই শ্বাশুড়ী ও চারজন বউ মিলে সবসময়ই ছোট বউকে অপমানও হেয় করে। একদিন বৃষ্টি হচ্ছে এমন সময় চার বউ তাদের সেই বৃষ্টিতে কার কী খেতে ইচ্ছে করছে তা নিয়ে আলোচনা করছে। তার সঙ্গে ছোট বউকেও তার ইচ্ছের কথা জিজ্ঞাসা করছে। উত্তরে ছোট বউ পাস্তা আর পুঁটিমাছের টক খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। তা শুনে সকলেই হেসে ওঠে। তারপর বিকেলবেলা তারা পাঁচ বউ মিলে গা ধুতে পুকুরে গেলো। তারপর গা ধুতে ধুতে ছোট বউ-এর পায়ে কিছু কিলবিল করে জলটা পাকাল ছোটবউ সেগুলোকে মাছ ভেবে বাড়ি এনে জিইয়ে রাখল। কিন্তু পরদিন দেখলো সেগুলো মাছ নয় সাপের বাচ্ছা, তখন সে সেগুলিকে দুধ ও পাকা কলা খেতে দিলো। এরপর একটু বড় হয়ে সেই মা মনসার বাচ্ছাগুলি স্বর্গে চলে গেলো ও মা মনসাকে ছোটবউ-এর দুর্দিনের কথা সব বলল। সব শুনে মায়ের দয়া হল। তিনি এক বৃদ্ধার ছদ্মবেশ ধরে সেই বেনে বাড়িতে গেলো ও ছলে বলে কৌশলে অন্য পরিচয় দিয়ে ছোট বউকে নিয়ে চলে এলো। তারপর তাকে চোখ বন্ধ করে রথে চাপাল—ও যখন তাঁর রথ স্বর্গে পৌঁছাল তখন তাকে বলল যে তিনি মা মনসা। আরো বলল যে সে যেন তাঁকে প্রত্যহ পূজা করে ও তাঁর সাপেদের জন্য দুধ গরম করে এবং কখনো যেন দক্ষিণ দিকটাতে না তাকায় বা না যায়। এইভাবে দিন কাটতে কাটতে একদিন হঠাৎ ছোটবউ ভুল করে দক্ষিণ দিকে চলে যায় ও দেখে মাকে মৃতাবস্থাতে। অবাক হয়ে তাই দেখতে দেখতে সে দুধ গরম করতে ভুলে যায়। তারপর যখন তার মনে পড়ে সে তখন দুধ গরম করেও সাপগুলোকে খেতে দেয়। সেই দুধ খেয়ে সাপগুলির মুখ পুড়ে যায়ও তারা মাকে গিয়ে নালিশ করে এবং তাকে কামড় দেবে একথাও বলে। এই কথা শুনে মা তাদেরকে বলে যে তিনি ছোটবউকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসার পর তারা যেন তাকে কামড়ায় তার আগে নয়। এই বলে তিনি ছোটবউ-এর একগাতে সকল গহনা পূর্ণ করে শ্বশুরবাড়িতে রেখে এলো পিছু পিছু সাপগুলিও চলল কিন্তু তা কেউ জানল না। ছোটবউ-এর এক গাতে গহনা দেখে তার শ্বাশুড়ী ও জায়েরা নিন্দা করাতে সে বলে উঠল—“যাট্ ষাট ষষ্ঠীর দাস আমার বেঁচে থাক।” তারপর বলে সে এখন একগাতে পরে এসেছে এরপর সে আরেকগাতে পরে আসবে। আড়াল থেকে সাপগুলো তা শুনে চলে গেল ও তাদের বিশ্বাস জন্মালো যে ছোট বউ ভালো মেয়ে। তারা তাকে আর না কামড়ে মা মনসাকে গিয়ে সব বলল। তারপর একদিন মা মনসা আবার মর্তে নেমে এলো। ছোটবউ সেদিন যখন স্নান সেড়ে উঠলো তখন মা মনসা তার কাছে গিয়ে তাকে আশীর্বাদ করে আরেক গা গহনাতে ভরে দিলো ও তাকে তাঁর পূজা প্রচার করার কথা বলল। তিনি বললেন দশহরার দিন সে যেন উঠানে মনসা গাছের ডাল পুঁতে পূজা করে। তিনি আরো বললেন যারা ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিনে মনসাপূজা করে তাদের কোনো সর্পভয় থাকে না তাই সেও যেন তা করে ও পূজা করার পর প্রণাম করে তাঁর কাছে বর প্রার্থনা করলে তিনি তা প্রদান করে থাকেন। ব্ৰতফল :

যে সকল মহিলারা মা মনসার পূজা করেন তাদের কোনো অভাব থাকে না, ধন বৃদ্ধি পায় এবং বিশেষ করে তাদের ও তাদের পরিবারের কারো কখনো সাপে কাটার ভয় থাকে না।

নাগ পঞ্চমী উৎসবটি সাপের দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এবং তাদের আশীর্বাদ লাভের জন্য পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই উৎসবটি পালন করলে সাপের কামড় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সাপের কারণে होने वाली অন্যান্য সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

নাগ পঞ্চমী উৎসবটি একটি সুন্দর এবং ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবটি পালন করে মানুষ সাপের দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং তাদের আশীর্বাদ লাভ করে।

নাগ পঞ্চমী উৎসব সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর:

নাগ পঞ্চমী উৎসব কবে পালিত হয়?

নাগ পঞ্চমী উৎসব শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয়।

নাগ পঞ্চমী উৎসব কেন পালিত হয়?

নাগ পঞ্চমী উৎসব সাপের দেবতাদের পূজা করার জন্য পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন সাপরা শান্ত থাকে এবং তাদের পূজা করলে তারা মানুষের ক্ষতি করে না।

নাগ পঞ্চমী উৎসব কিভাবে পালিত হয়?

নাগ পঞ্চমী উৎসব বিভিন্নভাবে পালিত হয়। কিছু অঞ্চলে এই দিন সাপের ছবি বা মূর্তি পূজা করা হয়। আবার কিছু অঞ্চলে এই দিন সাপের দেবতাদের নামে ব্রত পালন করা হয়। এছাড়াও, এই দিন সাপের খাবার যেমন দুধ, ধান, কলা ইত্যাদি দান করা হয়।

নাগ পঞ্চমী উৎসবের গুরুত্ব কী?

নাগ পঞ্চমী উৎসবের গুরুত্ব হল সাপের দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তাদের আশীর্বাদ লাভ করা। বিশ্বাস করা হয় যে এই উৎসবটি পালন করলে সাপের কামড় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সাপের কারণে होने वाली অন্যান্য সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

Read more: 2023 Maa Manasha Puja Date Time in India - मा मनसा पूजा डेट और टाइम

You May Like Also Also Like This

Post a Comment

0 Comments


Advertisement